ময়মনসিংহের ভালুকার খীরু নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম কানিজ ফাতেমা। বয়স ১৭ বছর। তিনি ভালুকা উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে। ওই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়েছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। তারা কানিজ ফাতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ গত রবিবার বিকালে খীরু নদীর পানিতে ভাসমান অবস্থায় হাত-পা বাঁধা এক তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার এবং ময়নাতদন্তের জন্য পরদিন সোমবার লাশটি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এর আগে রবিবার রাতে মডেল থানা পুলিশের এস আই মো. আবু তালেব বাদী হয়ে ওই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পরদিন উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুক থানায় এসে উদ্ধারকৃত লাশটি তার মেয়ে কানিজ ফাতেমার বলে শনাক্ত করেন। অপরদিকে হত্যা মামলা দায়েরের পরপরই থানা পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশ ঘটনার তিন দিনের মধ্যে গতকাল বুধবার রাতে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করে। তারা হলেন, ভালুকা পৌর সভার কাঠালী গ্রামের মো. জহির হোসেনের ছেলে মো. মনির হোসেন (২৩) ও মো. আইয়ুব আলী শেখের ছেলে মো. জামাল হোসেন (২৫)।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, গত ৩ জুন রাত ৮টার দিকে ভালুকা বাজার হতে বাড়ি ফেরার পথে বিভিন্ন প্রলোভনে কানিজ ফাতেমাকে তারা ভালুকা পৌর সভার ২নম্বর ওয়ার্ডের খীরু নদী সংলগ্ন জনৈক আজিজুল হক বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আরোও আরও ২-৩ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় মেয়েটি ডাক-চিৎকার শুরু করলে তারা তাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ খীরু নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশ আসামিদের নিকট থেকে কানিজ ফাতেমার ব্যবহৃত মোবাইলের সিম কার্ডটি উদ্ধার করে।
তরুণীর বাবা জানান, তার মেয়ে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছিল। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কানিজ ফতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গেপ্তারে চেষ্টা চলছে।