তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়, বঙ্গবন্ধু পুরো জাতির। বাংলাদেশের সাথে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বাঙালি থেকে শুরু করে উপমহাদেশ এবং সমগ্র বিশ্বের বাঙালির কাছে বঙ্গবন্ধু একজন পূজনীয় নেতা। বঙ্গবন্ধু তাই সমগ্র বাঙালির। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করতে চায় না। এটি তাদের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক দৈন্যতা, চিন্তার দৈন্যতা।’
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। জাগপা সভাপতি একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু’র সভাপতিত্বে ও দলের সাধারণ সম্পাদক এড. মো: মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।
বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ রচনা করে গেছেন তাই নয়, বঙ্গবন্ধু যখন একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রচনার পথে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আজকের প্রজন্মের অনেকে হয়ত জানে না, আমার এই কথাটি কতটা বস্তুনিষ্ঠ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। তিনি যখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, সেই আন্তর্জাতিক অপশক্তি এবং তাদের দেশীয় দোসরদের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত অবকাঠামোর পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠনের জন্য রাষ্ট্রের সমস্ত অনাচার বন্ধ হওয়া দরকার এবং সম্প্রতি ধর্ষণসহ এধরনের যে অনাচারগুলো হয়েছে, তা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইন সংশোধন করা হয়েছে। পার্লামেন্ট অধিবেশনের জন্য অপেক্ষা না করে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেই আইন কার্যকর করা হয়েছে এবং যাতে এই অনাচার বন্ধ হয় সেজন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অথচ আমি কাগজে-টেলিভিশনে জানলাম, বিএনপি এটি নিয়েও সমালোচনা করেছে। এটির কারণ একটাই হতে পারে, তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে এই অনাচারের সাথে যুক্ত ছিল। তখন কিভাবে নারী ধর্ষণ হয়েছিল সবাই জানেন। সে কারণেই কি তারা এই আইন সংশোধনের সমালোচনা করছে -এটিই আজকে জনগণের প্রশ্ন। তার অর্থ দাঁড়ায়, বিএনপি চায় না দেশ থেকে অনাচার দূর হোক।’ বাসস