ক্ষমতা কারো চিরস্থায়ী থাকে না। সবার উচিত, মৃত্যু সম্পর্কে চিন্তা করা। এবং আখেরাতের প্রস্তুুতি গ্রহণ করা।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বাবা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামকে কটাক্ষ করে সৈয়দ আশরাফ আলোচনায় আসেন। তাকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ‘হেফাজতে ইসলাম বিড়ালের মত লেজ গুটিয়ে চলে গেছে’ বলে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদও তখন জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, “উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা কখনো লেজ গুটাতে জানে না। বরং ক্ষমতার অন্ধমোহে আসক্ত জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদদেরকেই অনেক সময় লেজগুটাতে বা অন্যের ছাতায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ”
তিনি অর্থহীন বক্তব্য ও অহেতুক সমালোচনা না করে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও রাজনীবিদদের হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন সৈয়দ আশরাফ। তবে শপথ নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।