মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইরানে বিস্ফোরণে নিহত চার, আহত পাঁচ শতাধিক শিবালয় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি )এস এম ফয়েজ উদ্দিনকে পদোন্নতি ও বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মহাদেবপুর দক্ষিণ পাড়া লুৎফর হাজারীর বাড়ি থেকে ৩কেজি গাঁজা উদ্ধার। নতুন ভোটার হলেন ৬৩ লাখ, বাদ পড়েছে ২৩ লাখ কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আজ সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের ঢাকা ভার্সিটি পড়ুয়া মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সৌজন্য সাক্ষাৎ। ফের ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ এআইনির্ভর আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নিল বিশ্বের প্রথম শিশু ক্রিকেটার নাসির-তামিমার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা ও দর কমছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭
  • ৭৮৪ বার পঠিত
বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা ও দর কমছে
ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের দর পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে চাহিদাও। গত দুই বছরে প্রধান বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে দর কমেছে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ। আর বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কমেছে ৮ শতাংশ।

পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়, অন্যদিকে পোশাকের দরপতন। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে কমছে পোশাকের চাহিদা। এসব কারণে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রফতানি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্থানে। সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের তৈরি পোশাক খাত।

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিকূলতার কারণে বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা ও ক্রয় কমে এসেছে।

বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাকের দর কমেছে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি বছরও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। গত জানুয়ারিতে ইইউতে দর কমেছে ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জুলাই মাসেও দর কমেছে একই হারে। অন্যদিকে, বিশ্ববাজারে দর কমে আসার প্রবণতার বিপরীতে দেশে বেড়েই চলেছে উৎপাদন ব্যয়।

বিজিএমইএ’র হিসাবে ২০১৬ সালে মজুরি বাবদ খরচ বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। গ্যাসের জন্য বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিংসহ (সিঅ্যান্ডএফ) পরিবহন খাতে। সব খাত মিলিয়ে গত দুই বছরে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

এর অতিরিক্ত সংস্কার বাবদ এককালীন মোটা অংক ব্যয় করেছেন উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএর হিসাব অনুযায়ী, কারখানা প্রতি গড় সংস্কার ব্যয় পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে এ খাতে কয়েকটি কারখানা সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কমে আসার প্রবণতা সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। ২০১৫ সালে পোশাকের চাহিদা আগের বছরের তুলনায় কমে ৮ শতাংশ। গত বছর আরও কমেছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।

উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অংকের হিসাবের এসব ক্ষতি ছাড়াও নানা সংকটে রয়েছে পোশাক খাত। যেমন, নেতিবাচক প্রচারণা, চট্টগ্রাম বন্দরের স্থবিরতা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পণ্য আনা-নেয়ায় নানা সংকট, ডলারের বিপরীতে টাকার শক্তিশালী অবস্থান ইত্যাদি।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমাদের পোশাক শিল্প নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমরা ক্রমেই সক্ষমতা হারাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং কারখানা সংস্কার ব্যয় বাড়ার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের বড় রফতানির এ খাতটি। সার্বিক বিবেচনায় দুই বছরের জন্য সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Registration number-p-35768