**মানিকগঞ্জ,৩০ মে **-শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা,স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ৩১ মে শনিবার ২০২৫ ইংরেজি মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি** হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা**। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আব্দুস সালাম বাদল,গোলাম কিবরিয়া সাঈদ,এডভোকেট আতাউর রহমান ভূঁইয়া,এডভোকেট আ ন ম জহির আলম লেলি,সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন,এডভোকেট আ: ফ: ম: নূরতাজ আলম বাহার,এডভোকেট আজাদ হোসেন খান,সহ জেলা বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
### *আলোচনা সভা: জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও অবদান স্মরণ*
প্রধান অতিথির বক্তব্যে *আফরোজা খান রিতা* বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক। তাঁর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। আমরা তাঁর আদর্শকে ধারণ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব।”
তিনি আরও বলেন,”বর্তমান সময়ে আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সামনে রেখে ও দেশের মানুষকে ভালবেসে বেগম খালেদা জিয়ার হাত কে শক্তিশালী করে,তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের স্বপ্নকে আমরা সকলেই মিলে বাস্তবায়ন করব আবার নতুন বাংলাদেশ গড়ব ইনশাল্লাহ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
### *স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি: মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা*
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে *স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি* অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা এতে অংশ নেন। রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ জিয়ার মানবসেবার আদর্শকে সম্মান জানানো হয়।
### *বইমেলা: জ্ঞানচর্চা ও ইতিহাসের ধারক*
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে *বইমেলা*-এর আয়োজন করা হয়, যেখানে শহীদ জিয়াউর রহমানের জীবনী, রাজনৈতিক দর্শন ও বাংলাদেশের ইতিহাস-সংক্রান্ত বই প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও স্থানীয় লেখক ও প্রকাশকদের বইয়ের স্টল স্থান পায়।
### *সমাপনী ও শপথ*
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে স্মরণ করে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা হয়