মানিকগঞ্জ, ২৯ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে মানিকগঞ্জ-৩ আসন (জাতীয় সংসদের ১৭০নং আসন) থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আতাউর রহমান আতা। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, সংগঠনিক দক্ষতা এবং জনসংযোগ তাঁকে এই আসনে শক্তিশালী দাবিদারে পরিণত করেছে ।
আতাউর রহমান আতা বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য পদগুলো হলো:
দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান (মানিকগঞ্জ সদর)
বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি
নবগঠিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি
বর্তমানে বিএনপির মানিকগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য
তিনি বিএনপির পুনর্গঠন ও সংগঠন শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে তিনি দলের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কাজ করছেন ।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
মানিকগঞ্জ-৩ আসনটি সাটুরিয়া উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত । বিগত নির্বাচনগুলোতে এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চোখে পড়ার মতো। ২০০৮ সালে বিএনপির হারুন অর রশিদ মুন্নু জয়ী হলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের জাহিদ মালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও সরাসরি ভোটে জয়লাভ করেন ।
২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যদি আতাউর রহমান আতাকে প্রার্থী করে, তাহলে তাঁর স্থানীয় জনপ্রিয়তা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর উন্নয়নমূলক কাজ এবং মানবাধিকার কমিশনের সাথে যুক্ত থাকার কারণে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক সমর্থন পেতে পারেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, আতাউর রহমান আতা বিএনপির একটি গ্রহণযোগ্য মুখ হতে পারেন, কারণ:
স্থানীয় সংগঠনে তাঁর দৃঢ় অবস্থান
উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন কাজের অভিজ্ঞতা
মানবাধিকার ও সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ততা
বিএনপির বর্তমান কমিটির সদস্য হিসেবে দলের ভেতরে গ্রহণযোগ্যতা
তবে, আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের দখলে থাকায় বিএনপিকে শক্তিশালী নির্বাচনী কৌশল নিতে হবে। আতাউর রহমান আতার মতো প্রার্থী দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
আতাউর রহমান আতা যদি বিএনপির প্রার্থী হন, তাহলে মানিকগঞ্জ-৩ আসনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখা যেতে পারে। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও জনসম্পৃক্ততা বিএনপিকে এই আসনে জয়ী করতে সহায়ক হতে পারে। আগামী দিনে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে, তিনি কি বিএনপির পক্ষ থেকে এই আসনে লড়বেন কি না