মানিকগঞ্জ, ০৫ আগস্ট ২০২৫ (মঙ্গলবার) খ্রিস্টাব্দে প্রকৃতির নির্মম থাবায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাটুরিয়া লঞ্চঘাট এখন শুধুই স্মৃতি। গত কয়েকদিন ধরে পদ্মার প্রচণ্ড স্রোত ও নদী ভাঙনের শিকারে পরিণত হয়ে ঘাটটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের মতে, চলমান বর্ষায় নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া এবং ভাঙন তীব্র হওয়ায় এই বিপর্যয় ঘটেছে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া ও ক্ষয়ক্ষতি পাটুরিয়া লঞ্চঘাট শিবালয়ের যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। ঘাটটি বিলীন হওয়ায় পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ প্রতিদিনের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। স্থানীয় মাঝি আব্দুল মান্নান বলেন,আমরা আগে এখানে দিনে ২০-৩০টি লঞ্চ নোঙর করতে দেখতাম। এখন সবই শেষ। নদী আমাদের ঘরবাড়ি, জমি কেড়ে নিচ্ছে।
নদী ভাঙনের কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে,পদ্মার গতিপথ পরিবর্তন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদী ভাঙন বেড়েছে। শিবালয়ের মতো এলাকাগুলোতে নদীর তীর রক্ষায় টেকসই বাঁধ বা রিভার ট্রেনিং কাজ না করা হলে ভাঙন রোধ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন তারা।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকিরহোসেন,
মুঠোফোনে জানান,পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে আমি সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিআইডব্লিউটিসি পরিদর্শন করেছি অলরেডি তারা বিকল্প হিসেবে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
নদী ভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন
১.জিওব্যাগ ও কংক্রিট ব্লক দিয়ে তীর সংরক্ষণ
২.নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণে প্রকৌশলীগত ব্যবস্থা
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের বিলুপ্তি শুধু একটি স্থাপনার ক্ষতি নয়, প্রকৃতির সাথে মানুষের লড়াই নদীভাঙন রোধে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগই এখন একমাত্র পথ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আকুল আবেদন আমাদের ঘাট ফিরে চাই, আমাদের জীবিকা ফিরে চাই