মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় আজ ১৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে শহরের পূর্ব দাশড়া এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম খান কামালের বাসায় এই ঘটনা ঘটে । বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে কালো পতাকা উত্তোলন, কোরআনখানি ও আলোচনা সভা হয়েছিল। দুপুরে দোয়া মাহফিলের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছিল, তখনই মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ এসে রান্নার আগুনে পানি দিয়ে নিভিয়ে দেয়।
পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করে খাবার রান্না করা হলেও, পুলিশ সেই রান্না করা খাবার হেফাজতে নিয়েছে । মফিজুল ইসলাম খান কামাল তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস-২০২৫, নৈতিক দায়িত্বে পালন করেছি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সকালে কালো পতাকা উত্তোলন, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজন ছিল কাঙ্গালী ভোজের।
মফিজুল ইসলাম খান কামাল তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন, “বঙ্গবন্ধু কোনো রাজনৈতিক দলের একক সম্পত্তি নন; তিনি বাঙালি জাতির জনক। তার শাহাদাৎবার্ষিকী পালন করতে আমার স্বাধীনতা আছে” ।
অন্যদিকে, মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. আমানউল্লাহ জানিয়েছেন, “উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। রান্না করা খাবার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এই ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কার্যাবলী থেকে ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন’ বাদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয় ।
এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করা হয়। প্রায় ১০ মাস পর ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’ সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কার্যাবলী থেকে এই কর্মসূচি বিলুপ্ত করা হলো ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস উদযাপন বা পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার