বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গণপরিষদের দরকার নেই: সালাহউদ্দিন রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ধর্ষণ মামলার আইন সংশোধনে খসড়া প্রস্তুত: আসিফ নজরুল অপহরণ করে চাঁদা না পেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হত্যা, আটক ৩ এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ১৬ জন হামলাকারী নিহত শাপলা চত্বরে গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩ চোখের পাতা নড়েছে মাগুরার সেই শিশুটি: উপ-প্রেসসচিব শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হবে: আলী রীয়াজ

মিয়ানমারের প্রস্তাবকে কৌশল মনে করছে বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭
  • ১১৯৪ বার পঠিত
মিয়ানমারের প্রস্তাবকে কৌশল মনে করছে বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা তাদের (মিয়ানমারের) ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর একটি কৌশল বলে মনে করছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ কথা বলেন।

‘রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমার নিজেরা যাচাই–বাছাই করে প্রত্যাবাসনের কথা বলছে। এবং এ ক্ষেত্রে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যে নীতি নেওয়া হয়েছিল, সেটাকে অনুসরণ করতে চাইছে। বাংলাদেশ সরকার এবারের পরিস্থিতির মাত্রা ও ভিন্নতার বিষয়ে মিয়ানমারকে জানিয়েছে এবং প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে একটা খসড়া প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে।

বাংলাদেশ চায়, এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) যুক্ত থাকুক—এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চায়, আন্তর্জাতিক চাপটা অব্যাহত থাকুক। ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের নিস্পৃহ মনে হয়েছে। তারা বাংলাদেশ সফর করেছে তবে কখনোই আলোচনা এগোয়নি। এমনকি আজকেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, সেখানকার গণমাধ্যমে এখনো রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গল টেররিস্ট’ বলা হচ্ছে।

১৬ তারিখে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে—এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে মিয়ানমার কী করছে, সেটা দেখেই বোঝা যাবে মিয়ানমার সত্যিই প্রত্যাবাসনে আগ্রহী কি না। বাংলাদেশ কী করেনি? বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও করেছে, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে। এর আগে একবারই জাতিসংঘের মহাসচিব লেবাননের সমস্যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল। আর এবার রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে চিঠি দিল। এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মোট চারটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলো।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যে সমস্যা, সেই সমস্যার দুটি দিক। একটি হলো তাদের জাতীয়তা, আরেকটি হলো প্রত্যাবাসন। দুটি সমস্যার সমাধানই মিয়ানমারের হাতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Registration number-p-35768