সেকেন্ড অফিসার সুমন চক্রবর্তী পরামর্শে ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ,মানিকগঞ্জ জেলা শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে গত ১৬ ই মে শুক্রবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে,নিজের সন্তান কর্তৃক অসুস্থ বৃদ্ধ মা-বাবাকে শারীরিক অত্যাচার করা এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার মানবতা বিরোধী ঘটনায় এলাকাবাসী ও সমাজ সমাজসেবীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে,এই নিষ্ঠুর ঘটনা খবর প্রকাশিত হওয়ার পর।
গত – ১৬-০৫-২০২৫ ইংরেজি তারিখ রাতে স্থানীয় শিবালয় থানায় নিয়ে যাওয়ার পর আইনি সমাধান একটি পরিবার তাদের অবাধ্য ছেলেকে নিয়ে অভিযোগ অনুযায়ী, ছেলেটি বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ মা বাবার সাথে নিয়মিত অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে, তাদের আদেশ অমান্য করছে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে উৎপীড়ন করছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে,সেকেন্ড অফিসার সুমন চক্রবর্তী, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেন।
আইনি ব্যবস্থা ও পরামর্শ সেকেন্ড অফিসার সুমন চক্রবর্তী জানান মা-বাবার প্রতি অবাধ্যতা শুধু নৈতিক অপরাধই নয় এটি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কবিরা গুনা, সনাতন ধর্মসহ অন্যান্য ধর্ম অবলম্বীদের মধ্যেও নিষেধ।
এবং বাংলাদেশের আইনিও এ ধরনের আচরণের শাস্তি রয়েছে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ হাদিসের মা-বাবার অবাধ্যতাকে কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এর পরিণতি হিসেবে জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থা দন্ডবিধি ১৮৬০-এর ধারা ৫০৯ ও ৫১০ অনুযায়ী, মা-বাবার প্রতি অশালীন আচরণ বা শারীরিক নির্যাতন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ এর অধীনে মা-বাবা সন্তানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
সন্তান যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং মা-বাবা কর্মহীন হন, তাহলে সন্তানকে আইনত তাদের ভরণপোষণ দিতে বাধ্য করা যায়।
থানার ভূমিকা সেন্ড অফিসার সুমন চক্রবর্তী জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর প্রথমে আমি ওসি তদন্ত পুলিশ পরিদর্শক মজিবুর রহমানকে জানান,তদন্ত স্যার আমাকে অভিযোগের বিষয়ে দেখতে বলেন।
প্রথমে মানবাধিকার কর্মী মোঃ আবুল কালাম আজাদ(সেন্টু) ভাই এর মধ্যস্থতার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিক সেন্টু ভাই আমাকে জানান, এই অভিযোগের বিষয় এভাবে সমাধান হবে না, তাহলে আমি সেন্টু ভাইকে বললাম তাহলে আমাদের ঊর্ধ্বতম স্যারদের সাথে কথা বলেন।
যদি সন্তান সংশোধন না হয়, তাহলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যেতে পারে, মা-বাবা চাইলে আদালত সন্তানের বিরুদ্ধে রেস্টেইনিং অর্ডার নিতে পারেন।
পরিবারের জন্য পরামর্শ সন্তানের সাথে খোলামেলা আলোচনা করে সমস্যার সমাধান চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পারিবারিক কাউন্সিলিং বা ধর্মীয় নেতাদের সহায়তা নিন,আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সন্তানকে সতর্ক করুন এবং সংশোধনের সুযোগ দিন।
শেষ কথা শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন,মা-বাবার অধিকার সন্তানের ওপর সর্বোচ্চ। তাদের অবাধ্যতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইন ও ধর্ম উভয়ই এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে,তিনি আরো উল্লেখ করেন যে,সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো গেলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।