প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই সরকারি খাল ও মাটির দিয়ে ভরাট করে আবাদী জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে।
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল বার্ক হ্যাচারীর সংলগ্নে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে । এতে ফসলী জমি ও ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি করে,অথচ স্থানীয় মাটি খেকোদের ব্যবসা চলছে জোরেশোরে। স্থানীয় কৃষক ও পরিবেশবাদীদের অভিযোগ,প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় এই অবৈধ কার্যক্রম বেপরোয়াভাবে চলছে।
### *খাল দখল, ফসলের জমি সংকট*
স্থানীয় কৃষক উজ্জল মিয়া,এবং কৃষাণী জাহানারা মুঠোফোনে ও মৌখিক ভাবে জানান,একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ঠিকাদার গোষ্ঠী প্রশাসনের চোখের সামনেই সরকারি খাল ও নালা মাটির দিয়ে ভরাট করে সেখানে অবৈধ ভাবে আবাদি জমির ফসল নষ্ট করে । এসব খাল কৃষি জমির সেচের প্রধান উৎস ছিল, কিন্তু এখন পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
“এই খালে উপর বাঁধ দিয়ে সেচের পানি না দিতে পেয়ে আমার কয়েক একর বোরো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে গেছে,” বলেন স্থানীয় কৃষাণী জাহানারা। “যারা খাল ভরাট করছে, তাদের বিরুদ্ধে বারবার নিষেধ করেও কোনো লাভ হয়নি।
### *মাটি খেকোদের সিন্ডিকেট*
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি খাল ভরাট করে মাটি বিক্রি করে প্রভাবশালী একটি চক্র কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করছে। রাতারাতি খাল-নালা ভরাট করে সেখানে মাটির ব্যবসা করছে । প্রশাসনীয় দুর্বলতার কারণে এই চক্রগুলো দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
*প্রশাসনের ভূমিকা*
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, কে বা কাহারা ফসলসহ এই ফসলীয় জমি ক্ষতি করে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে এই মাটি ভরাট করেছে। সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-কাছে ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,”খাল ভরাটের বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে, তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”
### *পরিবেশ ও কৃষির মারাত্মক ঝুঁকি*
পরিবেশবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন, খাল-নালা ভরাটের ফলে শুধু কৃষিই নয়, এলাকার জলাবদ্ধতা ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও বিপদসীমায় পৌঁছাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
### *কৃষকদের প্রতিবাদ*
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় কৃষকরা বলেন,আমরা যদি আমাদের জমি ও পরিবেশ রক্ষা করতে না পারি, তাহলে আগামী দিনে খাদ্য সংকট দেখা দেবে।”
### *সরকারের হস্তক্ষেপ চাই*
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবেশ সংগঠনগুলো অবিলম্বে খাল উদ্ধার, দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় UNO -আবুল কালাম আজাদ (সেন্টু) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন যখন মাটি ভরাটের কার্যক্রম শুরু করে আমাদেরকে জানাবেন।
*শেষ কথা:*
সরকারি খাল দখল ও মাটি ভাড়াটির বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে মাটি ব্যবসায়ী মোঃ কুদরত আলী জানান আমরা সড়ক ও জনপথে আবেদন করেছিলাম আমাদের আবেদন গ্রহণ করেনি বিধায়, অনুমতি ছাড়াই কয়েক দিনের জন্য কাজ করব, কাজ হয়ে গেলেই সরকারি খালের বাঁধ সরিয়ে দিব মাটি খেকোদের এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসন যদি এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে কৃষি ও পরিবেশের উপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ভয়াবহ রূপ নেবে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, তাদের ফসল ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক