প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনি ভরাটে পরিবেশের বিপর্যয়,কৃষকদের অস্তিত্ব সংকট প্রশাসনিক উদাসীনতায় প্রশ্ন। বেআইনি ভাবে সড়ক ও জনপথের খাল-নালা ভরাট করে চলেছে মাটি খেকোদের রমরমা ব্যবসা। এতে ফসলি জমি ও কৃষি কাজ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়লেও স্থানীয় প্রশাশন নির্বিকার। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ায় জলাবদ্ধতায় ফসল নষ্টের শঙ্কা আরও বেড়েছে। ক্ষুব্ধ কৃষক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, প্রভাবশালীদের সঙ্গে প্রশাসনের আঁতাতেই এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছে।
খাল ভরাটের দুঃসাহস, প্রশাসনের চোখে আঙুল,স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল বার্ক হ্যাচারীর সংলগ্নে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে থাকা খাল-নালা ও জলাধারগুলো প্রভাবশালী মহল দখল করে মাটি ভরাট করছে। ভরাটকৃত জমিতে বোরো ধান ক্ষতি করে শিবালয় উপজেলার প্রশাসনিক অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
*কৃষকের চোখে জল, প্রশাসনে গাফিলতি*
খাল ভরাটের পড়েছে কৃষি জমিতে। পানি জমে থাকায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, মাটির উর্বরতা কমছে। কৃষক মোঃ আলী বলেন,প্রতিবছর বর্ষায় আমাদের জমি পানিতে তলিয়ে যায়। খাল ভরাট হওয়ায় পানি নামে না। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
স্থানীয় পরিবেশ কর্মী জাহানারা বলেন,এখানকার জলাধারগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এগুলো ভরাট করলে পরিবেশগত বিপর্যয় অবধারিত। কিন্তু প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা প্রভাবশালীদের পক্ষ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুঠোফোন সাংবাদিক এ কে এম কাউছার আহমেদকে বলেন,অবৈধ ভরাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে । প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক দিন ধরে একই জবাব শুনে আসছেন তারা। প্রশাসনের তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণের কারণে মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না।
রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, মোঃ কুদরত প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার সমর্থনে এই অবৈধ ভরাট চলছে। মাটি বিক্রির লভ্যাংশে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে।
চূড়ান্ত পরিবেশ ও কৃষি ধ্বংসের মুখে পরিবেশবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন, খাল-নালা ভরাটের ফলে বর্ষায় জোয়ারের পানি বাধা গ্রস্থ হবে এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে,স্থানীয় প্রশাসন যদি এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষকসহ পরিবেশ।
জনগণের দাবি: অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন ও কৃষকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে।
খাল-নালা পুনরুদ্ধার করে ফিরিয়ে আনতে হবে।
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ও মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা আর প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে যখন প্রকৃতি ও কৃষকের অস্তিত্ব সংকটে, তখন এই সংকট সমাধানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপের আশা। নইলে পরিবেশ ও খাদ্য নিয়ে ভবিষ্যতে মারাত্মক সংকট দেখা দেবে।