রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদা পারভীনের শেষ শ্রদ্ধা শহীদ মিনারে, দাফন কুষ্টিয়ায় কেমিক্যালমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে ব্র্যাক মানিকগঞ্জ জেলার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠিত। মানিকগঞ্জে সেনা অভিযানে অস্ত্র, ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার “পিস্তল ফারুক” বিএনপির সদস্য সংগ্রহে আতাউর রহমান আতার সভা, স্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণে উদ্দীপনা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর কালীগঙ্গায় মাতালেন নৌকার মাঝিরা, লক্ষ দর্শকের উপচেপড়া ভিড়। মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকীর রান্না করা খাবার। আতাউর রহমান আতার নেতৃত্বে মানিকগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন ও দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত। বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি নিয়ে সাটুরিয়ায় গঠনমূলক আলোচনা। প্রয়াত মহাসচিব,মরহুম খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মরণে স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত। বিআরটিএ ডিজিটাল সেবা ও সড়ক দুর্ঘটনা ভুক্তভোগীদের সহায়তায় মানিকগঞ্জে কার্যকর উদ্যোগ।

ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের অসাধুতা বন্ধ হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ৯৩ বার পঠিত

দেশে চলছে নানামুখী দুর্নীতি। সমাজের সর্বস্তরে চলছে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। এখানে যেন ‘কেউ কারে নাহি জেতে সমানে সমান’। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশন অফিসাররা দায়িত্বরত ডাক্তারদের নানা কৌশলে কমিশন দিচ্ছেন । আবার কেউ দিচ্ছেন দামি মোবাইল ফোন, কেউবা দিচ্ছেন দামি উপহার। এভাবে ডাক্তাররা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বা মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। উপহারের মধ্যে আরও আছে বিদেশে যাওয়ার যাবতীয় খরচ, ঘরের ফার্নিচার, এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ল্যাপটপ, দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে সেমিনারের নামে ট্যুরের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন জিনিস। এমন চিকিৎসকও রয়েছেন, যারা নিজেদের ছেলেমেয়ের বিয়ের খাবারের সম্পূর্ণ খরচ নিয়ে থাকেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে। এসব কারণেই ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা হয়ে উঠছেন বেপরোয়া। তারা কোথাও কোনো নিয়মনীতি মানছেন না। যখন-তখন ডাক্তারদের কক্ষে ঢুকে দীর্ঘ সময় অবস্থান করছেন। এ কারণে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের। আবার রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে বাইরে এলেই তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি চলে।
এর ফলে অধিকাংশ ডাক্তার নির্দিষ্ট কোম্পানির, এমনকি মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধও প্রেসক্রিপশনে লিখছেন। ফলে পকেট কাটা যাচ্ছে রোগীদের। শুধু বাড়তি অর্থ যে যাচ্ছে তাই নয়, এর সঙ্গে জনস্বাস্থ্যও পড়ছে হুমকির মুখে। স্বাস্থ্য খাতে এ অরাজকতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব ডাক্তারই যে এটা করছেন তা নয়, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে। এটা অবশ্যই ডাক্তারদের নীতি-নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কারণ, একজন রোগী বিপদে পড়ে বিশ্বাস নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। আর সেই বিশ্বাস নিয়ে খেলা করা সভ্যসমাজে চলতে দেওয়া যায় না। কেননা অনৈতিক এই চর্চার কারণে রোগীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যয় বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে যেভাবে ওষুধের মার্কেটিং করা হয়, সেটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মেলে না। বিদেশে নতুন ওষুধ তৈরি হলে বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তু এখানে রিপ্রেজেনটেটিভের মাধ্যমে সরাসরি বিজ্ঞাপন করা হয়। এতে দেখা যায়, অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিংয়ের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ উৎপাদনের খরচ ৫০-৭০ শতাংশ বেড়ে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে ওষুধের দাম ও মানের ওপর। সাধারণত শীর্ষ কোম্পানিগুলোর চেয়ে অখ্যাত কোম্পানিগুলো বেশি কমিশন দিচ্ছে। এ কারণে গ্রামগঞ্জসহ সারা দেশে গ্রাম্য চিকিৎসক, ফার্মেসি কর্মী-দোকানদাররা নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করতে উৎসাহ দেখান। ফলে মানুষ দুইদিক দিয়ে ঠকছে। এক হচ্ছে বেশি টাকা খরচ, দুই মানহীন ওষুধ নিতে হচ্ছে। এ বিষয় সংশ্লিষ্টরা বলেন, বর্তমানে মানুষ প্রয়োজনের বেশি ওষুধ সেবন করছেন। কেননা আমাদের দেশে কী পরিমাণ ওষুধের প্রয়োজন এবং উৎপাদন কী পরিমাণ হচ্ছে, সেটির হিসাব সরকারের কাছে নেই। ফলে উৎপাদিত ওষুধ নিয়ে কোম্পানিগুলো অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং করে থাকে। এ ধরনের মার্কেটিং অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের এই অসাধু সিন্ডিকেট অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Registration number-p-35768