মানিকগঞ্জ, ৪ আগস্ট রোজ সোমবার ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার পরেও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় মহাদেবপুর ইউনিয়নের ফলসাটিয়া, মহাদেবপুর উত্তর পাড়া, সাহেলী গ্রামে বর্ষার এই সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পাট চাষীদের ওপর।
চাষীদের মুখে দুর্ভোগের কথা শিবালয়ের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, পাট গাছগুলো কাটা হয়েছে কিন্তু পাঠ পচনের প্রক্রিয়া বর্ষার পানির না আশাতে পাট চাষীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিয়া তরফদার,মুঠোফোনে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ সেন্টু কে বলেন,অল্প পানিতে পাট পচানোর প্রক্রিয়াকে (রিবন রেটিং) বা শুষ্ক পদ্ধতিতে পাট পচানো বলা হয়।
পাট চাষিরা এই পদ্ধতিতে পাট গাছের ডার্টি বা কান্ডকে অল্প পানিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ সেমি গভীরতায় ডুবিয়ে রাখা হয়, যাতে পানির পরিমাণ কম থাকে কিন্তু পাটের ডার্টি ভালোভাবে ভিজে পচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয।
সম্ভাব্য সমাধানের পথ কৃষি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে বৃষ্টির পানিকে সংরক্ষণ করতে খাল-বিল পুনঃখনন, সামষ্টিক সেচ প্রকল্প চালু এবং ড্রিপ ইরিগেশনের মতো আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এছাড়া, দ্রুত স্বল্পমেয়াদি সহায়তা হিসেবে চাষীদের জন্য তহবিল বরাদ্দ ও সেচ যন্ত্রের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেওয়া না হলে শিবালয়ের মতো অঞ্চলে সোনালী আঁশ পাট চাষ ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা চাষিরা।