জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রথম সমাবেশে উপস্থিত থাকছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত নেতারাও।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের সামনে মানিকমিয়া এভিনিউয়ে বানানো মঞ্চে এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল পৌনে ৪টার সময়ও তা শুরু হয়নি। তবে আমন্ত্রিত অতিথিরা ইতোমধ্যে সভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন।
মঞ্চের সামনেই রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন সাজানো রয়েছে। এরপরেই শহীদ পরিবার, জুলাই যোদ্ধা পরিবারের জন্য আসন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ইতোমধ্যে সভাস্থলে এসেছেন।
ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন ও মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাশেমী এবং এবি পার্টির মো. দিদারুল আলমও উপস্থিত হয়েছেন।
সভাস্থলে এসেছেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মান্নান, মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। কূটনীতিবিদদের মধ্যে পাকিস্তান হাই কমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গালও এসেছেন।
নতুন দলের নেতাদের মধ্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ, নুসরাত তাবাসসুম, আরিফুল ইসলাম আদিব বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছেও আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন।
হান্নান মাসউদ তখন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শহীদ পরিবারকে দাওয়াত করেছি, আহতদেরকে দাওয়াত করেছি, পাশাপাশি উপদেষ্টাদেরকে দাওয়াত করছি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিল এমন সব রাজনৈতিক দলকে আমরা দাওয়াত করেছি। সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধু এবং কূটনীতিকদের আমরা দাওয়াত করেছি।