মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন শিবালয়ে যোগদান করার পর
বিগত দিনের কর্মকান্ড সম্পর্কে সাম্প্রতিক অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমি মোঃ আবুল কালাম আজাদ (সেন্টু) দেখতে পাই যে তার কার্যক্রম মূলত ভূমি সেবার ডিজিটাললাইজেশন জমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি রোধ এর উপর কেন্দ্রীভূত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড ও অর্জন :
১ ডিজিটাল ভূমি সেবা সম্প্রসারণ :
অনলাইনে মিউটেশন নামজারী খতিয়ান ও দাখিলা সেবা চালু রাখা।
২ ভূমি উন্নয়ন কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) অনলাইনে প্রদানের ব্যবস্থা জোরদার করা।
৩ জমি সংক্রান্ত মামলা ও বিরোধ নিষ্পত্তি :
দীর্ঘমেয়াদি জমি বিবাদ নিষ্পত্তিতে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪ দুর্নীতি বিরোধী অভিযান :
ভূমি অফিসগুলো কার্যক্রম মনিটরিং এবং অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৫ সেবা সহজীকরণ :
“ঘরে বসে ভূমি সেবা”কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সহজে সেবা প্রদান।
শিবালয়ে যোগদানকৃত কর্মস্থলে তিনি অত্যন্ত সততা দক্ষতা সুনাম ও বিচক্ষণতার সাথে দাপ্তরিক কার্যাবলী সম্পাদন করেন
তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ভিপি সম্পত্তির লিজমানি আদায়, দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমি উন্নয়ন করা আদায়, চান্দিনা ভিটির লীজ নবায়ন, দ্রুত মিউটিশন ও মিসকেস নিষ্পত্তি, জলমহালের ইজারা প্রদান।
মহাদেবপুর উওর পাড়া সরকারি খাস জমিতে শ্মশানঘাট বা (চিতা খোলা) নির্মাণ সহ জনবসতি খোলা জায়গায় মৃতদেহ সৎকার নিয়ে হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ সৃষ্ট সংকট জেলা প্রশাসন সহ উপজেলা প্রশাসন উপস্থিত হিন্দু- মুসলিম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বাদী মোঃ আবুল কালাম আজাদ (সেন্টু) সাংবাদিক ও অতুল কুমার নন্দী মধ্যস্থতায় নিরসন।
অবৈধ বালু ও মাটি ব্যবসায়ীদের ওপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, দেশের সংকটকালীন সময়ে চ্যালেঞ্জিং মৎস্য অভিযান পরিচালনা, নবগ্রাম বাস স্ট্যান্ড এলাকায় চীনা বহুজাতি কোম্পানিতে শ্রমিক ধর্মঘট নিরসন সহ অসংখ্য ইতিবাচক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন যার মাধ্যমে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ দ্বারা প্রশংসিত হয়েছেন।
ভিপি লিজমানি আদায় : তিনি দীর্ঘ ৬০ বছরের অনবায়নকৃত বন্ধ নথিসহ সর্বমোট ৫০১ টি ভিপি নথি নবায়ন করেছেন এবং ৩৮,০৩,৪৩১/টাকা লিজমানি আদায় করেছেন। একই সাথে “ক” তফসিলভুক্ত সরকারি সম্পত্তি সমূহে সরকারের দখল প্রতিষ্ঠা ও রাজস্ব আদাই নিশ্চিত করেছেন।
ভূমি উন্নয়ন কর: তিনি ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ সাধারণ ৭৯,৯৯,৩৬২/টাকা এবং সংস্থায় ১,৭৯,৭৫৫/টাকা সর্বমোট ৮১,৭৮,৬১৭/টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
চান্দিনা ভিটি লীজ নবায়ন : তিনি ২৫৮টি চান্দিনা ভিটি লীজ নবায়ন এবং ২,১৭,৩৮০/টাকা লীজ মানি আদায় করেছেন।
জলমহল ইজারা: দীর্ঘদিন লীজ বহির্ভূত ছোট ছোট টেপড়ী পুকুর শুকনাই খাস পুকুর ও বুতুনী পুকুর ১৪৩২-১৪৩৪ মেয়াদে ইজারা প্রদান পূর্ব ২,১৯,৭৫০/টাকা আদায় করেছেন।
মহাদেবপুর উত্তর পাড়া সরকারি খাস ভূমিতে শ্মশানঘাট নির্মাণ ও মৃতদেহ সৎকার নিয়ে হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট সংকট নিরসন মহাদেবপুর শ্মশানঘাট ও লাশ সৎকার নিয়ে হিন্দু – মুসলিম সাম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট সংকট ও দাঙ্গা পরিস্থিতি নিরাসনে অত্যান্ত বিচক্ষণতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন।
অবৈধ ভালো উত্তোলন ও মাটি ব্যবসায়ীর উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা : পদ্মা ও যমুনা তীরবর্তী নদী ভাঙ্গন প্রবন শিবালয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের নিকট মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন
অবৈধ বালু ও মাটি কাটার রোদে সর্বমোট ২৩ টি মোবাইল কোর্টে ৪৩ টি মামলায় ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ৩১ জনকে ২২,৩৫,০০০/টাকা জরিমানা করেছেন।
দু:সাহসিকতার সহিত দুর্গম আলোকদিয়া চর এলাকায় সফলতার সহিত অভিযান পরিচালনা করেছেন। তার সাহসী ভূমিকায় যমুনা তীরবর্তী নেহালপুর ও জাফরগঞ্জ এলাকায় নিয়মিত চিত্র ড্রেজার দিয়ে ভালো উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এছাড়াও রাতের আঁধারে কৃষি জমির উপরিভাগে টপ সয়েল কর্তন প্রতিরোধে সাহসের সাথে দিনেও রাতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
মোবাইল কোট পরিচালনা : জনবান্ধ ব ও জনকল্যাণের স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩৩২টি মামলায় ১২১জনকে জেল,২১৫ জন আসামীকে ৩২,৯৯,৩০০/টাকা জরিমানা করেছেন।
মৎস্য অভিযান : সরকারের ক্রান্তিকালীন সময়ে মা ইলিশ সংরক্ষণে পদ্মা ও যমুনায় মোহনায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৩ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একজন উদ্যমী পরিশ্রমী ও দক্ষ অফিসার হিসেবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি মর্য অভিযানে ১৪৬ জন আসামী ধরেছেন।
বিভিন্ন মেয়াদে ১০৯ জনকে জেল দিয়েছেন এবং জরিমানা আদায় করেছেন ১,৪২,০০০/টাকা এছাড়া তিনি প্রায় ৮০০ কেজি ইলিশ জব্দ করে গরিব দুঃস্থ অসহায় মানুষ এবং উপজেলা দিন বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় ও এতিমখানায় দান করে একজন উদার মনের মানুষ ও মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন : নবগ্রাম বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন চীনা ফ্যাক্টরিতে সৃষ্ট শ্রমিক মালিক দণ্ড নিরসনে ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয় শ্রমিকরা বেতন ভাতা ও পদোন্নতি দাবিতে তিন ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাত্র তিন মিনিটে রাস্তা অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য করে।
চীনা ফ্যাক্টরিতে সৃষ্ট শ্রমিক মালিক এমন দন্দ তিনি তিনবার সমাধান করেন ঈদুল ফিতরের পূর্বে ও শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করলে ঢাকা পাটুরিয়া সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শ্রমিকদের বুঝিয়ে রাস্তা হতে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।একজন মানুষ নেতৃত্বের গুণাবলীর উচ্চ স্তরে আসীন বলেই এত কম সময়ে জটিল সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে।
ভূমি সেবা : ভূমি সেবা কে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ও ভূমি সেবা সহজীকরণে তার ভূমিকা ছিল অন্যান্য। প্রতিটি হাটে ক্যাম্প স্থাপন করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর মাধ্যমে চান্দিনা ভিটির এক সোনা লাইসেন্স নবায়নসহ নিজ অফিসে ও ভিপি লীজ মানি নবায়ন চালু করেছিলেন ওয়ান স্টপ সার্ভিস।
তার একান্ত উদ্যোগে উলাইল বাজারের দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন সহ একই সাথে ০৭ সাত লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়াও নাম জানিয়ে ও জমা ভাগ মিউটিশন মামলা সমুহ খুব স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তিতে নিরসন ভাবে কাজ করে গেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলায় নামজারি গড় নিষ্পত্তিতে শিবালয়ের অবস্থান অধিকাংশ সময় ছিল প্রথমদিকে।
এছাড়া বিবিধ মামলা নিষ্পত্তি পূর্বক ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে সুষ্ঠু সফলতার পরিচয় দিয়েছেন গত এক বছরে ২৪৮ টি বিবিধ মামলা নিষ্পত্তি করে সুনামের সাথে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে গিয়েছেন।