মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি কলেজ মাঠে গ্রামীণ ঘুড়ি মেলা গ্রাম বাংলার প্রাণবন্ত ঐতিহ্যকে ধারণ করে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয় বর্ণনাঢ্য গ্রামীণ মেলা শতাব্দীর প্রাচীন এই মেলাটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে শুধু বিনোদনের মাধ্যমে নয় বরং লোকসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রদর্শনী।
এই মেলায় অংশ নেয় হাজারো দর্শণার্থী যেখানে স্থানীয় কারিগর কৃষক ও শিল্পীরা তাদের হস্তশিল্প কৃষি পণ্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল সাজিয়েছেন মেলার মূল আকর্ষণ ছিল ঘুড়ি হ্যান্ডিক্রাফট মাটির পুতুল বাঁশের কাঠের খেলনা এবং স্থানীয় তাতে শিল্পের নকশি কাঁথা এছাড়াও মিষ্টি মুড়ি মুড়কি পিঠা পায়েশের স্বাদ নিতে ভিড় জমায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই।
মেলার মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনের গল্প ফুটিয়ে তুলেন এছাড়া নাগরদোলা গ্রামীণ খেলা গুলো দর্শকদের মধ্যে সৃষ্টি করে উৎসবের আমেজ স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ জানান এই মেলার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক পটভূমি যেমন কৃষি উৎসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে সময়ের পরিক্রমায় এটি পরিণত হয়েছে একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় যা গ্রামীণ অর্থনীতিকেও শক্তির যুগিয়েছে।
মোঃ আবু দাউদ ওলামা লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি বলেন, এই মেলা আমাদের পূর্বপুরুষের স্মৃতিকে ধরে রাখে আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন তাদের শিকড়ের সংস্কৃতি বুঝতে পারে প্রতি বছরই আমরা এই মেলার জন্য অপেক্ষা করি এখানে এসে মনে হয় গ্রামের সরল জীবন যাপন ফিরে গেছি আগামী বছরগুলোতে আরো বেশি অংশগ্রহণ ও আধুনিকতার সমন্বয়ে এই মেলাকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা সম্ভব হলেও হতে পারে।
মোঃ আমিনুল বলেন গ্রামীণ মেলা কেবল পণ্য কেনাবেচার স্থান নয় এটি বাংলাদেশের লোকঐতিহ্য সম্প্রীতি ও সরল আনন্দের প্রতীক এমন আয়োজন গ্রামীণ জীবন ধারাকে টিকিয়ে রাখতে এবং পর্যটন শিল্পকে বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
নানারকম পণ্যের পসরা ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা মেলার স্থানীয় ও বাইরের ব্যবসায়ীরা এনেছেন হস্তশিল্প কুটির শিল্প মাটির খেলনা দোকান নাগরদোলা ও মুখরোচক খাবারের স্টল গুলোতে বিন্নি ধানের খই সাজ আকরা বাতাসা গুড়ের সাজ মুড়ি লিচু তরমুজ ভাঙ্গি সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সমাহার লেগে আছে উপচে পড়া ভিড়।
মেলায় অন্যতম আকর্ষণ ছিল ঘুড়ির গৃস্থলী কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রর দোকান মেলা উপলক্ষে গ্রামবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।