স্থান শিবালয়,প্রকাশের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে
শিবালয় উপজেলায় সড়ক ও জনপথের খাল ভরাট করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি এবং ফসলি জমি ধ্বংসের অভিযোগে মোঃ মিজানুর রহমান খান কুদরত (৪৩) পিতা মৃত রমজান আলী খান,ঘিওর উপজেলা বিএনপির দ্বিতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রাম কুস্তা ও মাটি ব্যবসায়ী গতকাল পুলিশ আটক করে। তাকে শিবালয় থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থান এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
মুঠোফোন মানিক মীর ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, গতকাল আমি দলের রিতা আপার আহবানে সাংগঠনিক কাজে ঢাকা ছিলাম মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান কুদরতের এই বিষয়ে আমি কিছু জানতে পারি নাই ।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাকির হোসেন,সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ (সেন্টু) কে মুঠোফোনে জানান,প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই আবাদি জমির ক্ষতি করে খাল ভরাট করা হয়েছিল।
এজন্য দায়ী মাটি ব্যবসায়ী কুদরতকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখেন এবং ভেকু দিয়ে সম্পূর্ণ মাটি সরিয়ে বর্ষা মৌসুমের পানি যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় খাল অবমুক্ত হয়েছে কিনা আমাকে জানান।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন যে, খাল ভরাটের কারণে বর্ষার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে, যা ফসলের ক্ষতি করছে। এছাড়া, সড়কের পাশের খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যা পরিবেশ ও কৃষির জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইউএনও মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, অবৈধভাবে খাল ভরাট ও ফসলি জমি নষ্ট করার মতো কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানে ভেকু দিয়ে মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছি এবং পুরোপুরি অপসারণ নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুদরতের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, সড়ক ও জনপথ আইন এবং কৃষি জমি সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কুদরত দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও খাল দখলের কাজে জড়িত ছিলেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পর এখন কাজ বন্ধ রয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি।
প্রশাসন বলছে, তারা এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরও তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।
শিবালয়ের এই ঘটনা পরিবেশ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা তুলে ধরে। স্থানীয়রা আশা করছেন, দ্রুত সমাধান পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হবে।
রিপোর্ট:আবুল কালাম আজাদ (সেন্টু)
সম্পাদক ও প্রকাশক